স্বদেশ ডেস্ক:
ভারত-চীনের উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সেনারা দাবি করেছে, চীনা সেনারা ভারতের ভূ-খণ্ডের ১৪৯ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া তারা ভারতীয় সীমানার মধ্যে স্থাপনা তৈরি করেছে বলে দাবি ভারতের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে চীনা সেনাদের তাঁবু তৈরি নিয়ে ভারত-চীনের সংঘর্ষ হয়েছিল। এরপরও ওই এলাকাসহ গালওয়ানে তাঁবু, রাস্তা তৈরির কাজ থামায়নি চীনা সেনারা।
ভারতীয় সেনা সূত্রের দাবি, গালওয়ান নদীর বাঁকে যে এলাকায় চীনা শিবিরগুলো তৈরি হয়েছে, তার কৌশলগত তাৎপর্য অনেক। কারণ তা থেকে গালওয়ান নদীর তীরে ভারতীয় সেনা শিবিরের উপরে সরাসরি নজর রাখা যায়। ওই এলাকায়, বস্তুত পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ এর কাছেই গালওয়ান নদী শাইয়োক নদীতে মিশেছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রের মতে, ওই এলাকায় বরাবরই টহল দিত ভারতীয় সেনারা। কিন্তু চীনা শিবিরের জন্য সেটা আর সম্ভব নয়।
এক সেনা কর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘চীনা সেনারা ভারতীয় ভূ-খণ্ডের মধ্যে ১৪৯ মিটার ঢুকে এসেছে।’
ভারতীয় সেনা সূত্র জানায়, চীনা সেনারা ওই এলাকায় তাঁবু নিয়ে এসে বসাচ্ছে। সেখানে গোলাপি ত্রিপলের বদলে দেখা যাচ্ছে কালো ত্রিপল। চীনা সেনারা বিশেষ ধরনের পোশাকও ব্যবহার। ওই পোশাকের নিচের অংশ ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ে তৈরি। তাতে নদীতে নেমে কাজ করতে সুবিধা হচ্ছে তাদের।
এক সেনা কর্তা বলেন, ‘চীনারা ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে থাকার প্রস্তুতি চালাচ্ছে, সন্দেহ নেই। পিছু হটার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।’
এদিকে, কাশ্মীরের শ্রীনগর, জম্মুর সুঞ্জওয়ান ও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে ক্রমাগত সেনা ও রসদ লাদাখে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমান।
কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান ও হিমাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় একাধিক সড়ক তৈরির কাজ চলছে। প্রয়োজনে রানওয়ের কাজও করতে পারে এমন ১৭টি সড়ক তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে তিনটি শেষ হয়ে গিয়েছে।’